বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে দৈনিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। তবে কোনো কোনো স্থানে তা দৈনিক দেড় থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে। তবে শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের লোড রেশনিং করা হবে না, জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে সাময়িক সময়ের জন্য এই লোডশেডিং হবে।

আগেই সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, সাময়িক লোডশেডিংয়ের সময় সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া অফিসের সময় কমানো যায় কি না, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, দেশে ডিজেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়াও রাত ৮টার পর বন্ধ রাখতে হবে দোকানপাট। ইবাদতের সময় ছাড়া অন্য সময় উপাসনালয়ের এসি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া কমে আসছে সরকারি অফিসের সময়সীমা।

পরিস্থিতি বিবেচনায় সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও আসতে পারে যে কোন সময়। তবে শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ গুরুত্ব পাবে।